• ২৭/০৩/২০২৫

পুরোপুরি শঙ্কামুক্ত নন তামিম

পুরোপুরি শঙ্কামুক্ত নন তামিম

আগের চেয়ে ভালো হলেও পুরোপুরি শঙ্কামুক্ত নন তামিম ইকবাল। এখনো অনেক যদি-কিন্তু রয়ে গেছে। এর মাঝেই জানা গেল নতুন খবর। চিকিৎসকরা জানালেন, ধুমপানে অভ্যস্ত তামিম, এমনকি হাসপাতালেই তা করতে চেয়েছেন।

কেপিজে হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার পর তামিম ইকবাল এখন আছেন এভারকেয়ার হাসপাতালে। হার্ট অ্যাটাকের ধকল কাটিয়ে অনেকটা সুস্থ হয়ে উঠছেন তিনি। দুয়েক দিনের মধ্যে যেতে পারবেন বাসাও।

তবে এর আগে আজ বৃহস্পতিবার তামিমের সার্বিক অবস্থা নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন চিকিৎসকরা। সেখানেই তার পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা ডাক্তার শাহাবুদ্দিন তালুকদার রীতিমতো বোমা ফাটিয়েছেন। জানিয়েছেন, ‘তামিম ধূমপানে অভ্যস্ত।’

এমনকি এত বড় ধাক্কার পরও পুরোনো অভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসতে পারেননি তামিম। জানা গেছে, হাসপাতালেই ধূমপানের অনুমতি চাচ্ছেন তিনি। তবে তার স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা চিন্তা করে কিছুতেই ধূমপানের অনুমতি দেননি চিকিৎসকেরা।

চিকিৎসকরা বলেন, ‘তাকে অবশ্যই ধূমপান ছাড়তে হবে। প্রথমে সে জানিয়েছিল, এটি তার পক্ষে সম্ভব নয় এবং ই-সিগারেটে অভ্যস্ত হবে। কিন্তু আমরা বুঝিয়ে বলেছি, ধীরে ধীরে তাকে এটি সম্পূর্ণভাবে বাদ দিতে হবে।’

‘কারণ এই সিগারেট খাইলে আবার উনার যে সমস্যাটা হইছিল, ভিটিপি; আবার হতে পারে।’

এমনকি তামিমকে ধূমপানের বিকল্প ব্যবস্থাও ‘ভেপও’ নিতে নিষেধ করেছেন ডাক্তার।

তবে তামিমের অবস্থা যে খুব খারাপ ছিল, তাও বর্ণনা করেন চিকিৎসকরা। বলেন, ‘মাত্র দুই ভাগ মানুষ এমন সঙ্কট থেকে ফিরে আসে। যারা প্রথমেই সিপিআর দিয়েছেন, তাদের অবদান না থাকলে হয়তো তামিমকে আমরা বাঁচাতে পারতাম না।’

এই সময় চিকিৎসকরা জানান নতুন শঙ্কার কথা। বলেন, ‘তামিমের ফ্যামিলি হিস্ট্রি খারাপ, পরিবারে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার একটা প্রবণতা আছে। ওরও এটা হয়েছে। অভ্যাস না বদলালে আবারো হার্ট অ্যাটাক হওয়ার চান্স আছে।’

এই সময় তামিমের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে চিকিৎসকরা বলেন, ‘তামিম ভালো আছেন, সুস্থ আছেন, খাওয়া দাওয়া করছেন। আজ সিসিইউ থেকে তাকে রুমে পাঠিয়ে দেয়া হবে। সেখানে এক বা দুই দিন পর্যবেক্ষণে রাখা হবে তাকে। এরপরই তিনি বাসায় যেতে পারবেন।’

উল্লেখ্য, আপাতত শঙ্কামুক্ত হলেও পুরোপুরি সুস্থ হতে তামিম ইকবালকে দীর্ঘদিন নিয়ম মেনে চলতে হবে। আগামী তিন মাস তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। এরপরই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে তিনি আবার মাঠে ফিরতে পারবেন কি না। অবশ্য তার পরিবার থেকে বিদেশ নিয়ে যাওয়ার কথাও আলোচনা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *